
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: শুরু থেকেই মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় আইফোন নিয়ে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের একচেটিয়া রাজত্ব। একের পর এক আইফোন নিয়ে হাজির হচ্ছে নির্মাতা সংস্থাটি। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আইফোন একটি বড় স্থান দখল করে আছে। আইফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। সারাবিশ্বে রয়েছে এর ব্যবহারকারী।
” data-medium-file=”https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?fit=970%2C544&ssl=1″ data-large-file=”https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?fit=970%2C544&ssl=1″ loading=”lazy” class=”size-full wp-image-1808944″ src=”https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?resize=970,544&ssl=1″ alt=”” width=”970″ height=”544″ srcset=”https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?w=970&ssl=1 970w, https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?resize=768%2C431&ssl=1 768w, https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2022/03/আইফোন-1.jpg?resize=750%2C421&ssl=1 750w” sizes=”(max-width: 970px) 100vw, 970px” data-recalc-dims=”1″>
তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় একটি সমস্যায় পড়েন, সেটি হলো ব্যাটারি নিয়ে। ব্যাটারির হেলথ ভালো রাখতে অবশ্যই ব্যাটারির ব্যাকাপ বাড়ানো খুবই জরুরি। সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করে আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকাপ অপটিমাইজ করতে পারেন-
> আইফোনের ব্যাটারি ড্রেইন রুখে দেওয়ার সেরা অস্ত্র হলো লো পাওয়ার মোড। লো পাওয়ার মোড চালু থাকলে ডাউনলোড ও ই-মেইল ফেচিং এর মত ব্যাকগ্রাউন্ড একটিভিটি বন্ধ থাকে।
ব্যাটারি ২০% এর নিচে আসলে লো পাওয়ার মোড অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। তবে ম্যানুয়ালি এই লো পাওয়ার মোড চালু করে উল্লেখযোগ্য হারে অধিক ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়।
> স্মার্টফোনের ব্যাটারির একটি বিশাল অংশ গ্রহণ করে ডিসপ্লে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী অটো ব্রাইটনেস সিলেক্ট এর অপশন সেট করে রাখা ভালো।
> অধিকাংশ মানুষ ডার্ক মোডের ফিচারটিকে অবহেলা করলেও এটির বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। আইফোনের ডার্ক মোড ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়ে থাকে। আবার চোখে অধিক সুবিধাজনক লাগে ডার্ক মোড।
> কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, যেমন- গুগল ম্যাপস বা উবার ব্যবহারে লোকেশন সার্ভিস এর প্রয়োজন রয়েছে। তবে লোকেশন সার্ভিস আইফোনের ব্যাটারি খরচ করে অনেক। প্রয়োজন না হলে লোকেশন পারমিশন রিমুভ করে দিন।
> আইওএস অ্যাপ ক্লোজ করার পর অচল অবস্থায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত চালু থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ অপশন চালু থাকলে সেক্ষেত্রে ক্লোজ করা অ্যাপও ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেট হয়, যা ব্যাটারির চার্জ উল্লেখযোগ্য হারে খরচ করে।
> প্রতিটি নোটিফিকেশনের জন্য আইফোনের স্ক্রিন লাইট জ্বলে ওঠে, যা ফোনের ব্যাটারি ব্যয় করে। সেটিংস থেকে নোটিফিকেশন মেন্যুতে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন।
> আইফোনের সেটিংস থেকে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এয়ারড্রপ বন্ধ করা না হলে ব্যাকগ্রাউন্ডে এগুলো চালু থেকে যায়। এসব ফিচার ম্যানুয়ালি বন্ধ না করলে অনবরত নেটওয়ার্কের জন্য সার্চ করতে থাকে। তাই প্রয়োজন না হলে এসব ফিচার সরাসরি সেটিংসে প্রবেশ করে বন্ধ করা উচিত।
> ব্যাটারি সেভ করতে চাইলে ডায়নামিক বা মুভিং ওয়ালপেপার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। সবসময় স্ট্যাস্টিক ওয়ালপেপার ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
> সেটিংস থেকে বন্ধ করা না থাকলে আইক্লাউড ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও ক্লাউডে ব্যাকাপ নেওয়ার কাজে ব্যাস্ত থাকে। স্বভাবতই এই প্রক্রিয়া প্রচুর ব্যাটারি খরচ করে। তাই আইক্লাউড দরকার না হলে বন্ধ রাখা যায়।
> আপনার আইফোন খুব ঠান্ডা বা খুব উষ্ণ পরিবেশে রাখবেন না। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির পারফরম্যান্স অনেকাংশে আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।