
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন শেয়ার করে জয় এই মন্তব্য করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে বারে বারে ফিরে যাবে।’
এর আগে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ৫ আগস্টকে ঘিরে যদি কোনো অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়ার বিষয় থাকে, তাহলে সেটা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বুঝবে আওয়ামী লীগ। যখন স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে, তখনই বিবেচনা করা হবে।
ক্ষমা চাওয়া ও অনুশোচনা প্রসঙ্গে আরাফাত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে তারা যে হত্যা করেছে, তারা কি তার জন্য অনুশোচনা করেছে? আর ওই সময়ে (৫ আগস্টকেন্দ্রিক) যে হত্যা হয়েছে, আমরা তো সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা বলেছি। স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছিলাম। যারা আমাদের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছে, তারা তো এক গোষ্ঠী হত্যাকারীকে দায়মুক্তি দিয়েছে। যারা হত্যাকারীকে দায়মুক্তি দেয়, যারা মব সন্ত্রাস করল, ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যা করল, তার জবাব কে দেবে?’
আপনাদের যদি জনভিত্তি থাকত, তাহলে তো দেশের মানুষ আপনাদের পক্ষে থাকত, তা তো হয়নি– ডয়চে ভেলের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর জবাব আপনারা কয়েক দিন পরে পাবেন। এখানে জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে যুক্ত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির টাকা ঢালা হয়েছে। মেটিকুলাসলি ডিজাইন করা হয়েছে। লাশের পর লাশ ফেলা হয়েছে। মানুষের মন বিষিয়ে বিষাক্ত করে খেপিয়ে তোলা হয়েছে। আজকে এক বছরের মাথায় এসে দেশের বেশির ভাগ মানুষ এটা অনুধাবন করতে পেরেছে। তারা ফিল করে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’
আরাফাতের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ চায়নি আর মানুষ নিহত হোক। তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি চাইত, তাহলে হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে পারত। আওয়ামী লীগ মানুষের দল। তাই সেটা চায়নি।’